মেনু নির্বাচন করুন

গজঘন্টা হাই স্কুল ও কলেজ, অতীত থেকে বর্তমান

আজ থেকে শত বৎসর পূর্বে ১৯০৬ ইং খৃষ্টাব্দে তিস্তার শাখা মানস নদীতে অবস্থিত প্রমাধ্যম বন্দরের অদূরে জমিদার অধুষ্ঠিত অঞ্চলে (বাবু/সুখী পাড়ায়) গঙ্গাচড়া বাসীর (রংপুর জেলার) বহুদিনের আকাঙ্খিত বাসনা বাস্তবায়নের শুভলগ্নে জন্ম হয়েছিল বর্তমান “গজঘন্টা হাইস্কুল ও কলেজ" সুদীর্ঘ একশত বৎসর পরেও আজকের শতবর্ষ পূর্তিতে তা উজ্জ্বল দীপ শিখারূপে সমস্ত আজ্ঞানতার অন্ধকারকে দূর করে জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়ে চলছে ।

 

অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বলতে গেলে জমিদার অনুষ্ঠিত অঞ্চলের জমিদারদের কথা প্রথমেই বলতে হয়। এই অঞ্চলে বাস করতেন, বাবু ঈষান চন্দ্র রায় চৌধুরী, বাবু কেশব চন্দ্র রায় চৌধুরী, বাবু সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরী, বাবু নলিনী কান্ত বাবু উমা কান্ত সাহা নামের প্রমুখ জমিদারবৃন্দ। তাঁরা প্রতিদিন সকাল

 

সন্ধ্যা হাতীর পিঠে চড়ে ভ্রমণে বের হতেন। হাতীর গলায় ঘন্টা ঢং ঢং করে বাজতে থাকতো এবং তা শুনা যেত বহুদুর পর্যন্ত। একদা মানস নদী পাড়ি দেওয়ার সময় এক জমিদারের হাতীর গলার ঘন্টা ছিড়ে যায়। এই ঘটনা থেকেই ধরা হয় এই অঞ্চলের নাম করণ হয় গজঘন্টা (হাতীর ঘন্টা) যার পূর্ব নাম ছিল ব্রম্যধাম (প্রমাপুর নদীর পাড়ের পূজা অর্চনা অঞ্চল)।

 

জমিদার বাবু ঈষান চন্দ্র রায় চৌধুরী ছিলেন ইউনিয়ন কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট। তাঁর রাতে তিনি পাঁচটি প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানগুলি হল (১) মাহিষাশুর প্রাইমারী স্কুল, (২) ছালাপাক প্রাইমারী স্কুল, (৩) রাজবলব প্রাইমারী স্কুল (8) কিসামত হাবু প্রাইমারী স্কুল এবং (৫) গজঘন্টা প্রাইমারী স্কুল।  গজঘন্টা প্রাইমারী স্কুলটিতে শুধু ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত চালু ছিল। তৎকালীন ডেপুটি ইন্সপেক্টর রহিম উদ্দিন আহমদ এর ১ মার্চ ১৯০৭ সালের পরিদর্শন মন্তব্য থেকেই ধরে নেওয়া হয় ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম গজঘন্টা এম,ভি স্কুলে রূপান্তরিত হয়। ১৯১৮ সালে গজঘন্টা এম,ই স্কুল চালু হয়। ১৯৩৭ সালে জুনিয়ার এম.ই স্কুল অনুমোদন লাভ করে। ১৯৩৯ সালে মি. বিস. ফ্রী স্কীম ডিস্টীক স্কুল বোর্ডের আওতায় প্রাইমারী সেকশন এবং মেডেল সেকশন পৃথক হয়। প্রতিষ্ঠান চলতো ছাত্রবেতন, ডিস্টীক বোর্ডের অনুদান এবং জামিদারগণের অনুদান দিয়ে। নিম্নে ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রসংখ্যা এবং শিক্ষকগণের বেতন ও পদবীর একটি তালিকা প্রদত্ত হল 

 

 

শ্ৰেণী                        হিন্দু                    মুসলিম                  মোট                     ফি

মেডেল সেকশন          

 

VI----------------------------   --------------------  ১৯ -------------------- ২৪ ------------------ /১২

 

V----------------------------   --------------------- ৩৯ -------------------- ৪৫ ------------------   /

 

প্রাইমারী সেকসন

 

VI---------------------------   --------------------- -------------------- ১১ --------------------   ফ্রি

 

III----------------------------   --------------------- -------------------- ১৫ -------------------   ফ্রি

 

II----------------------------   --------------------- --------------------- ---------------------   ফ্রি

 

I----------------------------   --------------------- --------------------- ---------------------   ফ্রি

 

Infant---------------------   --------------------- ১৪ ------------------- ১৮ ---------------------  ফ্রি

 

শিক্ষক                                        পদবী                        যোগ্যতা                    বেতন                       বয়স

 

১। বাবু সুরেন্দ্রনাথ সেন গুপ্ত----------------   প্রধান শিক্ষক ----------------- আই,এ (ফেল)------------------ ৩০/- ---------------------  ২১বছর  

 

২। বাবু জ্ঞানেন্দ্র নাথ রায় ---------------------  ২য় মাষ্টার  --------------------- মেট্রিক --------------------- ১৮/- -----------------  ১৮ বছর  

 

৩ । মোলভি মেহের উদ্দিন আহমেদ ----------  প্রধান পন্ডিত  ----------------  ভি,এম (ফেল)------------------ ২০/- --------------------  ২১ বছর  

 

 ৪ । মোলভি কছির উদ্দিন আহমেদ ----------- ২য় পন্ডিত  -------------------- এম,ভি ---------------------- ১৫/- ----------------- ২৫ বছর  

 

৫ । বাবু কৃষ্ণ মোহন সরকার ------------------ ৩য় পন্ডিত --------------------- এম,ভি -------------------- - ১২/- -----------------  ২৫ বছর  

 

 (পরবর্তীতে মরহুম এমদাদ আলী  মিঞার  বড় ভাই মরহুম হাছেন আলী শিক্ষকতা করেন )।

 

 

জমিদার বাবু ঈষান চন্দ্র চৌধুরীর কাকাতো ভাই বাবু সতীশ চন্দ্র চৌধুরী স্কুল ভবনের উত্তর পশ্চিমে ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে/স্থাপন করেন সতীশ চন্দ্র দাতব্য চিকিৎসালয় । পরবর্তীতে Up grade স্কুল চালু হলে দাতব্য চিকিৎসালয়টি প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষ হিসাবে ব্যবহার শুরু হয় । প্রতিষ্ঠানটি পাশেই এস কে ঘোষ সিগার মেকিং ফ্যাক্টরী অবস্থিত ছিল। ১৯৩৭/৩৮ সালে তৎকালীন বৃটিশ ছোট লাট স্যার জন এন্ডারসন লিনলিটগোর আগমন ঘটে তাকে খুশি করতে না পারায় সিগার ফ্যাক্টরীটি বিলুপ্ত হয় এবং পরিত্যাক্ত ভবনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আওতায় আনার প্রচেষ্টা চলে। ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি গজঘন্টা জুনিয়ার এম.ই স্কুলে রূপান্তরিত হয় । ১৯৪৭ সালে বৃটিশ শাসনের বিলুপ্তির পর পাকিস্তান আমলে এটি জুনিয়র হাইস্কুল হিসাবে অনুমোদন লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটির সার্বক্ষণিক তদারকে জমিদার গণের পরবর্তীতে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন মৌ,এম, এমদাদ আলী মিঞা, বি,এ, মরহুম আব্দুর ছাত্তার দুলাল, আলেফ উদ্দিন দালাল, এ,কে,এম কেরামত আলী মিঞা ও মোঃ আব্দুল মালেক মিঞা, মোঃ আব্দুল জব্বার মিঞা, নূর মোহাম্মদ মিঞা, শযত উল্যা মিঞা, হাজী আব্দুল আজিজ পাইকার, মৌঃ ওছমান আলী সরকার, মৌঃ ছলীম উদ্দিন দালাল, মোঃ হামিজ উদ্দিন, মোঃ ফজলুল হক, মোঃ মফিজ উদ্দিন প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ । প্রতিষ্ঠানটির চারধারে ছিল বিশাল ময়দান। আর সেই ময়দানে বিভিন্ন খেলা খেলত স্থানীয় কিশোর যুবক দল। অনারারী ম্যাজিষ্টেড এবং চেয়ারম্যান মরহুম এমদাদ আলীর তত্ত্বাবধানে কিশোর যুবকদের নিয়ে গড়ে উঠে জি.এফ.সি (জেনারেল ফুটবল ক্লাব) নামে একটি ফুটবল টিম। টিমটি উপমহাদেশে সু-খ্যাতি অর্জন করে এবং ১১টি চ্যাম্পিয়ানশিপ জয় করে । তখন তাদের জন্য প্রয়োজন পড়ে একটি স্থায়ী খেলার মাঠ। তৎকালীন ম্যাজিষ্ট্রেট এস.কে ঘোষ তাদের জন্য জমিদার বাবু ঈষান চন্দ্র চৌধুরীর ভাই বাবু কেশব চন্দ্র জমিদার নলিনী কান্ত এবং উমা কান্তর নিকট হতে খেলার মাঠের জন্য স্কুলের নামে দান গ্রহণ করেন । জি,এফ,সি দলের সভাপতি ছিলেন সাহেবজাদা, খেলোয়ার ছিলেন, খোকা মাষ্টার, মরহুম আলতাফ উদ্দিন দালাল, মরহুম আজিজার রহমান, বাবু কৃষ্ঠ চন্দ্ৰ প্রমুখ । 

 

 

প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংকট দূর করনের লক্ষ্যে মরহুম মোঃ ইমদাদ আলী মিঞার নেতৃত্বে মোঃ মজিবর রহমান মজি, ওসমান দেওয়ানী, মোঃ মতিয়ার রহমান, হাজী আঃ রহমান, আলেফ উদ্দিন দালাল, জমির উদ্দিন দালাল প্রমুখ তাঁদের সমবয়সী কিশোর যুবক বাহিনী ধান কাটার মত কায়িক পরিশ্রম করে এবং তাদের পারিশ্রমিক দিয়ে অর্থ যুগিয়েছেন ।

 

১৯৫৩ সালে গজঘন্টা জুনিয়র হাই স্কুল প্রথম ৯ম শ্রেণী খোলার অনুমোদন লাভ করে এবং ১৯৬৫ সালে প্রথম এস, এস, সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১১ জন। ছাত্র কৃতিত্বের সাথে পাশ করে। এই অনুমোদন লাভের ক্ষেত্রে মরহুম এম, এমদাদ আলী মিঞা এবং প্রধান শিক্ষক বাবু হরিপদ বর্মন সাহেবের অবদান অনস্বীকার্য।

 

১৯৬৫ সালে ২৮ হাত লম্বা ও ১২ হাত প্রস্থ একট টিনের চালা উঠানো হয়। ১৯৬৭ সালে বিজ্ঞান ল্যাবরেটরী খোলার জন্য গৃহ নির্মাণ বাবদ সরকারী অনুদান কুঁড়ি হাজার টাকা বরাদ্দ হয়, যাহা ১৯৬৯ সালে প্রধান শিক্ষক এ,এস,এম আনোয়ারুল ইসলাম, মরহুম মৌ, এ, কে, এম কেরামত আলী মিঞার তত্ত্বাবধানে উত্তরপূর্ব দিকে ভবন নির্মিত হয় । যাহা বর্তমানে শিক্ষক সাধারণ কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ।

 

মরহুম এম এমদাদ আলী মিঞার মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠান তদারকে তাঁর ছোট ভাই মরহুম এরশাদ আলী এগিয়ে আসেন তাঁর প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালে আরডিআরএস কর্তৃক প্রদত্ত অনুদানে পূর্বদিকে আধাপাকা টিনশেড ঘর নির্মিত হয়। এরশাদ আলী মিঞার মৃত্যুর পর মরহুম এমদাদ আলীর সুযোগ্য পুত্র মরহুম আলী মোঃ জাফর টফি (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠানের আমৃত্যু সভাপতি) এর তত্ত্বাবধানে ১৯৯৪-৯৮ সালে ফ্যাসিলিটিস ডিপার্টমেন্টের অনুদানে দক্ষিণে দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়।

 

১৯৯৭ সালে বিদ্যালয়টি উচ্চ মাধ্যমিক খোলার অনুমোদন লাভ করে এবং ১৯৯৮ সাল হতে কলেজ শাখা পুরোদমে শুরু হয়। তখন প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ হয় গজঘন্টা হাইস্কুল ও কলেজ । কলেজ প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, সভাপতি মরহুম আলী মোঃ জাফর টফি এবং জমিদাতা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মকসুদার রহমান সাহেবের অবদান স্মরণীয়। ২০০৩ সালে ব্র্যাক কর্তৃক গজঘন্টা গণকেন্দ্র পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয় যাহা স্কুল ও কলেজ সংশ্লিষ্ট সভাপতি মরহুম আলী জাফরের প্রচেষ্টায় ২০০৩-২০০৪ সালে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় মাঠে নির্মিত হয় আর একটি দ্বিতল ভবন যেটি বর্তমানে কলেজ শাখার একাডেমিক ভবন হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০০৪ সালে সরকারী সহায়তায় প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানাগার সমৃদ্ধ এবং কম্পিউটার শিক্ষা পূর্ণাঙ্গতা লাভ করে।

 

২০০৩ সালে মরহুম আলী মোঃ জাফরের সহায়তায় এবং জনাব মোফাজ্জল হোসেনের কৃতিত্বে এস,এস,সি ভোকেশনাল খোলার অনুমোদন পায় এবং তখন থেকে বিদ্যালয়ে এস,এস,সি (ভোকেশনাল) কোর্স চালু হয়। ২০০৭ সালে গজঘন্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমানের সহায়তায় মাঠের উত্তর পাশে একটি দৃষ্টিনন্দন মূলফটক নির্মাণ করা হয় ।

 

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির স্কুল শাখায়, ১৯ জন শিক্ষক কর্মচারী, ৫৬০ জন ছাত্রছাত্রী ভকেশনাল শাখায়, ৫ জন ইন্সট্রাকটর, ২০০ জন ছাত্রছাত্রী এবং কলেজ শাখায় ২১ জন প্রভাষক/প্রভাষিকা কর্মচারী এবং ১২৫ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যক্ষ জনাব বীরেন চন্দ্র মহন্ত এবং গভর্নিং বডির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গংগাচড়া জনাব মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস এর তত্ত্বাবধানে স্বগর্তে আলোক বর্তিকা জ্বালিয়ে চলছে । 

 

প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি হাজার হাজার শিক্ষিত ব্যক্তিত্ব উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে শুধু তাই নয়, তাঁরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ লাভ করে সমাজ ও দেশে বিদেশে বিভিন্ন স্থানে সম্মানিত ও প্রতিষ্ঠিত পেশায় তথা প্রিন্সিপাল, প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রী, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, সচিব, সমাজসেবক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়াবিদ, রাজনীতিবিধ, সাংবাদিক,  সেনাবাহিনীর সদস্য কর্মকর্তা প্রভৃতি কর্মযজ্ঞে অবস্থান করছে।

 

বিদ্যালয় আজ তাঁদের জন্য গর্ববোধ করে এবং শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তাঁদের যাদের নিরলস পরিশ্রম, ত্যাগ উদ্যোগ, দানে আজ প্রতিষ্ঠানটি না করছে।

 

এ কথা অনায়াসে বলা চলে গজঘন্টা অঞ্চল অন্য অঞ্চলের তুলনায় অধিক শিক্ষিতের হার, সরকারী চাকুরী জীবির আধিক্ষের কারণ এই প্রতিষ্ঠানটি এতদসত্ত্বেও রয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানের নানাবিধ সমস্যা যেমন অধিক ছাত্রছাত্রীর জন্য উপযুক্ত স্যানিটেশন, শ্রেণী কক্ষ সংকট, নামাজের জন্য মসজিদ, ক্যাম্পাস বাউন্ডারী, কমন রুম, ক্যান্টিন, বিজ্ঞানাগার ও ক্রীড়া সামগ্রী, কম্পিউটার, হল রুম, কলেজ শাখার ফলাফল প্রতি বছর ভাল হওয়া সত্ত্বেও দরিদ্র ও কম মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের ব্যয়বহুল দুরের প্রতিষ্ঠানে পড়ার বিলাসী মনোভাব প্রভৃতি ।

 

গজঘন্টা রংপুর তথা এ দেশের সুধীমন্ডলী, শিক্ষানুরাগী, শিক্ষাদরদী, মহোদয়গনের নিকট আবেদন জনাই আসুন আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরকে বাস্তবমুখী শিক্ষার সুশিক্ষিত করে, তাদেরকে চরিত্রবান, নিষ্ঠাবান, স্বাস্থ্যবান, আত্মপ্রত্যয়ী, নিঃস্বার্থ সমাজসেবী ও দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার একটি আদর্শ মানুষ গড়ার কারখানায় পরিণত করতে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির জন্য সকলেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করি, যেমন করেছিলেন আমাদের নিবেদিত পূর্ব সূরীগণ প্রতিষ্ঠানের নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক শিক্ষিকাগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আপনাদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে সমস্যা সংকুল অন্যান্য বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় এরও অবশিষ্ট

 

সমস্যা গুলির প্রতি সদয় হই । বিগত শত বৎসরের অধিক সময়ের বহু ত্যাগ বই উৎসর্গ, এই ক্ষুদ্র পরিসরে হয়তো স্মরণ করা হয়নি। হয়তোবা প্রকৃতি মূল্যায়ন হয়নি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি । অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ব্যক্তি পরিচিতি হয়তোবা অন্তর্ভুক্ত হয়নি যা স্থান পেলে আরও সুন্দর ও সার্থত হতো এই প্রতিবেদন প্রকাশ । এত দীর্ঘ সময়ের ইতিহাস এত অল্প সময়ে সংগ্রহ এবং তা স্বল্প পরিসরে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করতে তথ্য গত ভাষা গত ভুলত্রুটি স্বাভাবিক ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আশা করছি ।

 

প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করতে যাদের দ্বার প্রান্তে গিয়ে ছিলাম এবং আমাকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন তাঁদের নিকট আমি কৃতজ্ঞ। যাঁদের নাম উল্লেখ না করলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ ও উপদেশ দিয়ে সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, সর্বাধিক তথ্য দিয়ে সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব এ,টি,এম মোসলেম উদ্দন। সাক্ষ্য দিয়ে মোঃ মজিবর রহমান মজি এবং সার্বিক সাহচার্য দিয়ে মোঃ লিয়াকত আলী সার । আমি তাঁদের নিকট চির কৃতজ্ঞ পরিশেষে গজঘন্টা স্কুল ও কলেজের উত্তোরোত্তর সাফল্য কামনা করি ।

 

                                                                                                                                                 গ্রন্থনা

                                                                                                                               মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদ তাপস

 

 

তথ্যসূত্রঃ- ১। সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, গজঘন্টা স্কুল ও কলেজ। ২। সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক, এ,টি,এম মোসলেম উদ্দিন, গজঘন্টা স্কুল ও কলেজ । ৩। মোঃ সামছুল ইসলাম প্রাক্তন শিক্ষক গজঘন্টা হাই স্কুল, প্রাক্তন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৪। মোঃ মজিবর রহমান মজি । ৫। মোঃ সহিদার রহমান মারোয়ারী । ৬। মোঃ আঃ ছাত্তার মিয়া। ৭। রংপুর জেলার ইতিহাস, গ্রন্থ । ৮। গজঘন্টা স্কুল ও কলেজ, অফিস নথি ৯। গজঘন্টা স্কুল ও কলেজ, অফিস নথি  ১০। গজঘন্টা সরকারী প্রাইমারী স্কুল, অফিস নথি ১১। গজঘন্টা স্কুল ও কলেজ, বার্ষিকী ৯৮।